► সূরা আল
কাহফ
► তিলাওয়াত: ওমর হিশাম আল আরাবি
► Originally uploaded by @OmarHishamAlArabi
• Surah Al Kahf (Be Heaven) سورة الكهف
টাইমস্ট্যাম্পস
0:00 সূচনা - Introduction
0:19 গুহার যুবকদের গল্প - বিশ্বাসের পরীক্ষা - The Story of the people of the cave – A Trial of Faith
13:38 দুটি বাগানের মালিকের গল্প - সম্পদের পরীক্ষা - The Story of the man who owns two gardens – A Trial of Wealth
24:42 মুসা (আ.) ও খিযির (আ.) এর গল্প - জ্ঞানের পরীক্ষা - The Story of Musa and Al-Khidr – A Trail of Knowledge
31:32 বাদশাহ্ যুলকারনাইন এর গল্প - ক্ষমতার পরীক্ষা - The Story of the King Dhul Qarnayn – A Trial of Power
পবিত্র কুরআনের সূরা কাহাফ মক্কায় অবতীর্ণ একটি সূরা। এটি কুরআনুল কারীমের ১৮ নম্বর সূরা। এ সূরায় আমাদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য আল্লাহ তা’আলা অতীতের চারটি উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক সত্য ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
গুহার যুবকদের গল্প - বিশ্বাসের পরীক্ষা - 0:19
আসহাবে কাহাফের ঘটনা আমরা সবাই কমবেশি শুনেছি। কয়েকজন যুবক আল্লাহর তায়ালার প্রতি পূর্ণ ঈমান আনার পর তাদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তারা যখন একটি গুহার নিকট পৌঁছালেন, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তাদের সবাইকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।
যখন তারা জেগে উঠলো পরস্পর বলাবলি করছিল যে তারা হয়ত একদিন কিংবা অর্ধ দিন ঘুমিয়েছে। তাদের একজনকে যখন খাবার ক্রয়ের জন্য শহরে পাঠানো হল সে ভেবেছিল লোকেরা হয়ত তাকে চিনে ফেলবে এবং তার ক্ষতি করবে। কিন্তু সে তাদের মাঝে একজন অপরিচিত আগন্তুক হিসেবেই নিজেকে খুঁজে পেল। শহরের লোকেরা তাকে এবং তার ব্যবহৃত পুরাতন মুদ্রা দেখে বিস্মিত হল।
মূলত এ ঘটনাতে দেখানো হয়েছে, আল্লাহ তার উপর ভরসাকারী বান্দাদেরকে কি করে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেন। এটা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, আল্লাহ তায়ালার ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের সবসময় হেফাজত করে থাকে।
দুটি বাগানের মালিকের গল্প - সম্পদের পরীক্ষা - 13:38
গল্পটি এমন এক ব্যক্তির যার দুটি সুন্দর বাগান ছিল, কিন্তু এ কারণে সে অহংকারী হয়ে তার বন্ধুকে বলেছিল “আমি তোমার থেকে উত্তম কেননা তোমার থেকে আমার বেশি সম্পদ, কর্মচারী ও সন্তান রয়েছে। (১৮ঃ৩৪)
লোকটি অহংকার বশত আল্লাহর নিয়ামতের কথা ভূলে গিয়েছিল ফলে আল্লাহ তার বাগানগুলোকে ধ্বংস করে দিলেন। এখানে দেখা যায়, আল্লাহ সেই দুই বন্ধুর একজনকে এমন দুটি বাগান দিয়েছিলেন যেগুলো ছিল খেজুর গাছ দিয়ে পরিবেষ্টিত, সর্বদা ফলদানকারী, দুয়ের মাঝে ছিল শস্যক্ষেত্র আর জলাশয়।
অর্থাৎ সবদিক দিয়েই এই বাগান দুটি ছিল একজন কৃষকের জন্য স্বপ্নতুল্য। এই বিরাট নিয়ামত পেয়ে অহংকারী বন্ধুটি নিজেকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ভাবতে শুরু করল। প্রথমে সে দাবী করল এই দুনিয়াবী সম্পদ অবিনশ্বর, এরপর সরাসরি পরকালকেই অস্বীকার করে বসলো। আল্লাহ আমাদেরকে এমন সম্পদ থেকে রক্ষা করুন যা আমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করে দেয়।
গল্পটি তাদের জন্য যারা দুনিয়ার মোহে ডুবে থাকে আর আল্লাহর নিয়ামতের কথা ভুলে যায়। তারা ভুলে যায় আল্লাহ ইচ্ছা করলেই তাদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নিতে পারেন।
মুসা (আ.) ও খিযির (আ.) এর গল্প - জ্ঞানের পরীক্ষা - 24:42
রাসুল (সা.) বলেছেন, একবার মুসা (আ.) বনি ইসরাইলিদের সামনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। একজন তার কাছে জানতে চাইল, মানুষের মাঝে সবচেয়ে জ্ঞানী কে? তিনি জবাব দিলেন, "আমি!" আল্লাহ মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানিয়ে দিলেন তিনি (আল্লাহ) তাকে সকল জ্ঞানের অধীকারী বানাননি। আল্লাহ তাকে বললেন, “দুই সাগরের সংযোগস্থলে আমার এক বান্দা আছে যে তোমার চাইতেও অধিক জ্ঞানী।
মুসা (আ.) আরজ করলেন হে আল্লাহ! আমি তার দেখা কি করে পাব? আল্লাহ মুসা (আ.) কে সে মানুষটিকে খুঁজে পাওয়ার উপায় বলে দিলেন, যিনি খিযির (আ.) (চীর সবুজ) নামে পরিচিত ছিলেন।
হজরত মুসা (আ.) খিজির (আ.) এর সাথে সফর করলেন এবং বুঝতে পারলেন আল্লাহ যাকে খুশি তাকেই জ্ঞান দান করেন। যেহেতু সকল জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ, তাই কারো জ্ঞান নিয়ে অহংকার করা উচিৎ নয়। খিজির (আ.) নিজেও বলেছেন, আমি আমার ইচ্ছায় কিছুই করিনি।। (১৮:৮২)
ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ্ যুলকারনাইন এর গল্প - ক্ষমতার পরীক্ষা - 31:32
যুলকারনাইন ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ বাদশাহ, তিনি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত সফর করেছিলেন। এ সফরের কথা কুরআনেও উল্লেখ করা হয়েছে। তার শেষ সফরে তিনি দুই পর্বতের মাঝে এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে পেলেন। তারা তার কাছে ইয়াজুজ ও মাজুজের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি দেওয়াল নির্মাণের আবেদন জানালো। যুলকারনাইন কাজটি করে দিতে সম্মত হলেন।
যুলকারনাইন তার কাজ নিয়ে গর্ব করেননি। দেওয়াল নির্মানের পর তার দেওয়া ভাষণ কুরআনে এসেছে, সে (জুলকারনাইন) বলল, এগুলো আমার মালিকের অনুগ্রহ, কিন্তু যখন আমার মালিকের নির্ধারিত সময় আসবে তিনি এগুলো চূর্ণ বিচূর্ণ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবেন, আর আমার প্রভুর ওয়াদাই চূড়ান্ত সত্য। (১৮:৯৮)
সূরা কাহফ এর ফযীলত:
রাসূল সা. আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহাফ পড়বে, আল্লাহ দুই জুমআর মধ্যবর্তী সময়ে তার উপর আলো দান করবেন। (বায়হাকী)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত নূর হবে।
আল্লাহ সূরা কাহাফের শিক্ষাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশে রূপান্তরের তৌফিক দিন। আমিন
DISCLAIMER:
This recitation's clip is taken from @Omar Hisham Al Arabi YouTube Channel. We have made the visual file and edited the whole sequence. We have also added translations for this video so that anyone can understand the meaning of this recitation.
FAIR USE:
Copyright Disclaimer under section 107 of the Copyright Act 1976, allowance is made for “fair use” for purposes such as criticism, comment, news reporting, teaching, scholarship, education, and research.