গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী | ফিলিস্তিনের মুক্তির দূত
পূর্ববর্তী ভিডিও: • পবিত্র ভূমি জেরুজালেম ইসলামের ছায়াতলে...
...............
আজ থেকে প্রায় ১ হাজার বছর আগে, যখন মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল খ্রিস্টান শক্তির পদানত, তখন একজন সাহসী ও নির্ভীক মুসলিম কমান্ডার বলেছিলেন, জেরুজালেম আর মসজিদুল আকসা যতদিন ক্রুসেডারদের দখলে, ততদিন আমি কি করে আনন্দ করতে পারি? আমি কি করে তৃপ্তি সহকারে উদরপূর্তি করতে পারি? রাতে কি করে শান্তিতে ঘুমাতে পারি?
আজ আমরা ইতিহাসের সেই ক্ষণজন্মা মানুষটির গল্প তুলে ধরতে যাচ্ছি,
যিনি মাত্র সাত বছর বয়সে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, ফিলিস্তিনে মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করাকে। তিনি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের একজন অকুতোভয় বীর সেনানী, যার দৃঢ়তা ছাড়িয়ে যায় পর্বতের উচ্চতাকেও। তিনি ছিলেন ক্রুসেডের মহানায়ক, যার নেতৃত্বে মুসলিমদের পবিত্র স্থান বায়তুল মুকাদ্দাস ও জেরুজালেম প্রায় ১০০ বছর পর খৃস্টানদের দখলমুক্ত হয়। ১১৮৭ সালের ৪ জুলাই হাত্তিনের যুদ্ধে ক্রুসেডারদেরকে পরাজিত করে তিনি মসজিদ আল আকসা পুনরুদ্ধার করেন। জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্য, সাহস, সততা, ধার্মিকতা আর মানবতার সংমিশ্রণে তিনি ছিলেন এক বিরল ব্যক্তিত্ব, যার বীরত্ব, মহানুভবতা ও মানবতার কাহিনী আজও মুসলিম বিশ্বে উপমা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি বাইতুল মুকাদ্দাসের ত্রাণকর্তা, জেরুজালেম ও ফিলিস্তিন বিজেতা গাজী সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী রহ.।